Wednesday, July 22, 2015

দুটি কথা

সবাই একটু লক্ষ করে আমার
দুটি কথা শুনবেন। আমি মুক্তি মাদারীপুরের সন্তান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংগীত শিল্পী, গীতিকার, সুরকার সংগীত শিক্ষক এবং মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অনেকেই আমার অতীতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন। ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হবার পর থেকেই সেই জাপানে বসে ব্লগিং আরম্ভ করি; ২০০৪ সালে আসে ফেচবুক। ব্লগিং্যের ধারা যায় বদলে। বাস আরম্ভ করি ফেচবুক। কিছু লোভী হাই ব্রীড ও নবাগত অর্থ লিপ্সুদের কারণে পদে পদে অপমান লাঞ্ছিত হয়েও থেমে থাকিনি; তা ইতোমধ্যে আপনারা হয়তো জেনেছেন। আজ সময় এসেছে সত্য কথা বলার। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আমাদের চেয়ে মেধাবী, বিকশিত প্রজ্ঞায় অতিমাত্রায় এগিয়ে আছে। কিন্তু এদের অনেকেই বাংলার ইতিহাস, বাঙ্গালীর ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য ঘটনা প্রবাহ, সমর নায়ক/সংগঠকসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দদের অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার কথা অবগত নয়। যে কাজটি আওয়ামী লীগের নিজস্ব অর্থায়নে বা উদ্যোগে সারা দেশব্যাপী সাংগঠনিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। সবার যার যার আখের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। প্রয়োজনে জাতিরজনকের নাম ও ছবির অসম/অযাচিত/শস্তা বস্তাপচা হিসেবে ব্যবহার ছাড়া আর কিছু হয়নি। আমার এই শেষ বয়সে আমি এর একটি ব্যতিক্রম বিস্ফোরণ ঘটাতে চাই। দেখাতে চাই ক্ষমতায় না থেকেও ইচ্ছে থাকলে দেশ জাতি ও জনগণের জন্য কাজ করা যায়। তাই অনলাইন ও অফলাইন সর্বত্র সময়৭১ নাম নিয়ে একটি সংগঠন দাড় করাবো এবং দেশে ও বিদেশে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের কর্মকাণ্ড, ৫২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে লালিত লোকজ শিল্প সাহিত্য কৃষ্টি সৃষ্টি অমরগাথা মধুময় সাংস্কৃতিক ভান্ডারসহ সব কিছু সংগ্রহ সংরক্ষণ প্রচার প্রসার ব্যপ্তি সংস্করন বর্ধন ইত্যাদি অযতনে অহেলিত বিষয়গুলোকে মানুষের সামনে তুলে ধরবো। আপনারা কি আমার সাথে আছেন? একটু সময় দিন এই বর্তমান প্রজন্মের মেধাবী চৌকস ত্যাগী নিবেদিত ছেলেদের। ওরা কাজ করতে চায় কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে অনেকেই নিরুৎসাহয়ী হয়ে বসে আছে। আওয়ামী মন্ত্রী এম পি ও শীর্ষ স্থানীয় নেতাগণ আছেন তাদের গতিরক্ষা কাজে মহা ব্যস্ত। তৃনমূল কর্মীদের জন্য সময় দেবার মত সময় তাদের নেই। হ্যাঁ, তারা আসবেন, আবার যখন ভোটের প্রয়োজন হবে। প্লিজ, আপনারা ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী -আপনাদের উৎসাহী সময়৭১ কে অনেক কিছু করার সুযোগ দেবে। একজন জেনুইন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি আপনাদের কাছে এ টুকু দাবী করতে পারি। আমি তো আর মাত্র ক'দিন? চলে যাবো না ফেরার দেশে। সংগঠনটি চালাবে নতুন তরুণ প্রজন্মের কেউ। ভালো থাকবেন। ওয়াচ্ছালাম। thanks and regards.www.facebook.com/somoyekattur

আওয়ামী লীগ কেন সতর্কতার সাথে পথ চলে না?

১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট গুটিকয়েক বন্দুকধারী বিপথগামী কুজন্মা কুলাঙ্গার এই বিশ্বকাপানো বিশ্বনেতাকে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মত স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকায় আবার চন্দ্রবিন্দু (চাঁদ তারা) বসানোর হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলো। ওরা এখনো গোটা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে গঞ্জে আস্তানা গেড়ে আছে ধর্মের নামে, ইসলামের নামে, ধর্মীয় শিক্ষার নামে এবং ওদেরকে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক পরিচালনা করছে, তাদের কেউ না কেউ, কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের ভিতরেও প্রবেশ করতে পেরেছে।
জাতিরজনকের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে ঠিক বঙ্গবন্ধুর মতো একই উদার নীতির বিপক্ষে কিছু কথা বলার জন্যই এ লেখা শুরু করেছি। হয়তো বুঝিনা, অথবা না বুঝেই পোদ্দারপট্টির অথর্ব প্রফুল্ল পোদ্দারের মতো দোকানে কোনো কাষ্টমার না থাকলে যেমন বিড় বিড় করত, ঠিক তেমনি কিছুক্ষণ বিড় বিড় করে ঘুমিয়ে পরবো । আমরা হচ্ছি ছাগলের তিন নম্বর। বাচ্ছা শব্দটি আর লিখলাম না। কারণ নেতানেত্রীগণ আমাদের যতোই বাচ্ছা বলে এড়িয়ে যাকনা কেনো আমরা আর বাচ্ছা নই, শুধু তাই নয়, আমাদের বাচ্ছারাও এখন মূখ ফুটে তাদের মনের কথা বলতে শিখেছে। আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের পূর্বসূরিদের চেয়ে অনেক সতর্ক ও স্বচেতন মেধার অধিকারী ।

শুভ নববর্ষ ১৪২৫

শুভ নববর্ষ ১৪২৫ ...